সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শিবচরে ডাকাত সন্দেহে ৪ জনকে গণ পিটুনি। বাহাদুরপুর শরিয়াতিয়া আলিয়া মাদরাসার ৮০তম বার্ষিক মাহফিলের আজ , আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে আজ। ৮১ তম বার্ষিক মাহফিল আগামী বছর ৪,৫ ও ৬ ই ফেব্রুয়ারি-২০২৬ ইং তারিখে অনুস্ঠিত হবে। সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমরা সবাই এক হই। ছোট মনের মানুষ দ্বারা সমাজের বড় কোনো কাজ করা সম্ভব হয় না। মুসল্লীদের পদচারনায় মুখরিত হাজী শরীয়াতুল্লাহ (রহ.)এর জন্মভুমি বাহাদুরপুর ময়দান শিবচরে হাজী শরীয়াতুল্লাহ রহ.এর আস্তানা বাহাদুরপুর ময়দানে ৮০তম বার্ষিক মাহফিল শুরু শিবচরে ঢাকা ভাঙ্গা এক্সপ্রেস ওয়েতে পিকাপ গাড়ির পিছনে গাড়ির ধাক্কায় দুই জন নিহত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক শ্রমিক সমাবেশ উপলক্ষে শিবচরে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় চা দোকানির হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার, শিবচরে রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি করার সময় গ্রেফতার-২ শিবচরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মর‌দেহ উদ্ধার

এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দরিদ্র মেধাবী সাইমার বাড়িতে যাবেন চীফ হুইপ, পাঠালেন মিষ্টি, দেওয়া হলো টিন নগদ অর্থ, নিলেন লেখাপড়ার দায়িত্ব

  • Update Time : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫.৩০ পিএম
  • ৩৪১ Time View

মোঃ ইয়াসিন কাজী, শিবচর এক্সপ্রেস ডেস্কঃ

চলতি বছর এইচএসসিতে মাদারীপুরের শিবচরের ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া পিতা ও মাতা হারা দরিদ্র মেধাবী সাইমা জামানের বাড়িতে প্রতিনিধিদের মাধ্যমে মিষ্টি ও উপহার পাঠালেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। বিধবা চাচীর সংগ্রামে জিপিএ-৫ পাওয়া অতি দরিদ্র এই মেধাবীর উচ্চ শিক্ষার দায়িত্বও নিয়েছেন চীফ হুইপ। চীফ হুইপের ছোট ভাই কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি নাসিরউদ্দিন চৌধুরী এই মেধাবীর সাথে দেখা করে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে সকল প্রকার সহযোগিতার আস্বাস দেন। ঘর মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে এই মেধাবীর বাড়িতে চীফ হুইপ যাবেন বলে জানা গেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, শিবচর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্ত্তী বন্দরখোলার ইউনিয়নের মল্লিককান্দি গ্রামের মরহুম পান্নু মল্লিকের যমজ সন্তানের সাইমা জামান চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ অর্জন করে। সৌদি প্রবাসী বাবা পান্নু প্রবাসেই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ২০০৯ সালে। তখন সাইমা ও তার সিয়ামের বয়স ৩ বছর। মধ্যবিত্ত পরিবারটি হঠ্যাৎ ভাগ্যের চাক উল্টো দিকে ঘুরতে শুরু করে। এর ২ মাস পরই একমাত্র চাচা মিনু মল্লিকও মারা যায়। সাইমার বয়স যখন ৫ বছর তখন মা চলে যায় অন্যের ঘরে। দাদা মনজু মল্লিক ও বিধবা চাচী মিরজান বেগম তার ছোট্ট দুই সন্তান ও সাইমাদের ২ ভাই বোনকে নিয়ে শুরু করে নতুন জীবন সংগ্রাম।  ৪ বছর আগে মারা যায় বৃদ্ধ দাদাও। তবু থেমে থাকে মিরজান বেগম। নিজের সন্তানের মতোই বড় করতে থাকেন সাইমাদেরও। সাইমা রাজারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে  পায় জিপিএ ৪.৮৯। এরপর ভর্তি হন উপজেলার দত্তপাড়ার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে। চাচাতো ভাই জাবেল মল্লিক ও চাচীর সহায়তা ছাড়া কলেজে ভর্তি ছিল কল্পনা মেয়েটির জন্য। সাইমা গ্রামের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাসিক ৩শ টাকা করে পড়িয়ে নিজের পড়ার খরচ ও কলেজে যাতায়াত ব্যবস্থা করতো। অর্থের অভাবে নিয়মিত কলেজেও যাওয়া হতো না এই অদম্যর। ১০ বছর আগে দাদার রেখে যাওয়া ইটের গাথুনির বাড়ির দেয়ালে এখনো দিতে পারেনি পলেস্তারাও।  ভাল ফলাফল করারও পরও উচ্চ শিক্ষার ব্যয়ভার নিয়ে শংকিত ছিল সাইমা ও তার পরিবার। বিষয়টি জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সাধারন সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরীর নজরে আসে। চীফ হুইপের নির্দেশে মাদারীপুর জেলা পরিষদ সদস্য আয়শা সিদ্দিকা মুন্নি, শিবচর প্রেস ক্লাব সভাপতি একে এম নাসিরুল হক ও প্রেস ক্লাব সাধারন সম্পাদক প্রদ্যুৎ সরকারকে দিয়ে মেধাবী সাইমার বাড়িতে মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী পাঠান। এসময় সাইমার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বৃত্তিসহ সহযোগিতার আস্বাস দেয়া হয় চীফ হুইপের পক্ষ থেকে। এদিকে তার নির্দেশনায় সোমবার সকালে সাইমার ঘর মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম।

অদম্য সাইমা বলেন, আমি ও আমার পরিবার মাননীয় চীফ হুইপ স্যারের কাছে চিরকৃতজ্ঞ যে আমার কথা শুনে তিঁনি আমার পাশে দাড়িয়েছেন। আমার লেখাপড়া যেখানে অনিশ্চিত ছিল সেখানে আর কোন ভয় নেই। আমি যেখানেই পড়ার সুযোগ পাবো সেখানেই তারা আমাকে সহায়তা করবেন এরচাইতে আর বেশি কি হতে পারে। তিনি আমার বাড়িতে মিষ্টি পাঠিয়েছেন। আমার ঘরের জন্য টিন ও টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন।

সাইমার চাচী মিরজান বেগম বলেন, চীফ হুইপ স্যার সাইমার ব্যাপারটি জানার পর যেন ম্যাজিকের মতো সব ঘটছে। ওর লেখাপড়া নিয়ে সকল অনিশ্চতা কেটে গেছে।

মাদারীপুর জেলা পরিষদ সদস্য আয়শা সিদ্দিকা মুন্নি বলেন, মাননীয় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মহোদয়ের পক্ষ থেকে আমরা মেধাবী সাইমা জামানের বাড়িতে মিষ্টি উপহার দিয়েছি । কলেজের সভাপতি তার ভাই রিপন চৌধুরীও এই মেধাবীর সাথে দেখা করে আস্বাস দিয়েছেন। ওর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে বৃত্তিসহ সকল সহযোগিতা তারা করবেন। চীফ হুইপ মহোদয়ের  নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনও টিন ও নগদ অর্থ দিয়েছেন। চীফ হুইপ মহোদয় ও তার পরিবার এরকম দরিদ্র মেধাবীদের নিয়মিত সহায়তা করে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র মেধাবী সাইমার জন্য আমরা টিন ও নগদ অর্থ দিয়েছি। এছাড়াও তার ব্যাপারে সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মুঠোফোনে বলেন, মেধাবী সাইমার লেখাপড়া চালিয়ে যেতে আমি ও আমার পরিবার ওর পাশে থাকবো। আমি ওর বাড়িতেও যাবো। এরকম মেধাবীরা আমাদের দেশের সম্পদ।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

jmit_1603
© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION